যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড কর্মকর্তা এসআই আমিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে চিহ্নিত মাদক কারবারী ইলিয়াছকে আটক করে ৩৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে আটক ভুয়া এএসপি রাকেশ ঘোষের বাড়ি থেকে ৪২ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ ও একটি মূল্যবান মোবাইল আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড কর্মকর্তা এসআই আমিরুজ্জামান ১৩ জুলাই রাত ২টার দিকে শহরের সিটি কলেজ পাড়ার চিহ্নিত মাদক কারবারী ইলিয়াছ হোসেনকে আটক করেন। এরপর তার কাছে দেন দরবার শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ওই রাতেই ইলিয়াছের পরিবারের কাছ থেকে ৩৪ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। একইভাবে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মাদক কারবারীসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ জুলাই ভুয়া এএসপি রাকেশ ঘোষকে আটক করে তার যশোর শহরের ঘোপ এলাকার ভাড়া বাড়িতে অভিযানে যান আমিরুজ্জামান। এ সময় তার বাড়ি থেকে প্রায় ৪২ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ এবং একটি মূল্যবান মোবাইল নিয়ে আসেন। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মূল্যবান মোবাইল, ল্যাপটপ এবং টাকার কোন উল্লেখ নাই। শুধু মাত্র পুরাতন ছোট একটি মোবাইল জব্দ তালিকায় উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া এসআই আমিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে খোলাডাঙ্গা ও কৃষ্ণবাটিসহ বিভিন্ন এলাকার নিরীহ মানুষদের আটক করে ইয়াবাসহ চালান দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর টাকা না দিলে অনেককে মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় চালান দিচ্ছেন। সম্প্রতি খোলাডাঙ্গা এলাকার নিহত হৃদয় খানের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়েছিলেন এসআই আমিরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে এসআই আমিরুজ্জামান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইলিয়াছ হোসেনকে থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই আবার তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। টাকা নেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি ভুয়া এসপি রাকেশের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ, নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন আনার কথা তিনি অস্বীকার করেন।