ফার্মেসি থেকে নেওয়া ওষুধ খেয়ে গুরুত্বর আসুস্থ ঝালকাঠি শহরের মধ্যচাঁদকাঠি (রূপনগর) এলাকার যুবক জুবায়ের। প্র¯্রাবে জ¦ালাপোড়া থাকায় নিকটস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে মের্সাস ফাতিমা মেডিসিন থেকে ওষুধ বিক্রেতার কাছে কাছে প্র¯্রাবে জ¦ালাপোড়ার কথা বললে তাকে ইউরোকিট প্লাস সিরাপ ও অফুরান টেবলেট ৬টি দেন। তবে বিক্রেতা ওষুধের সেবনবিধি সিরাপের প্যকেটে বা টেবলেটের গায়ে লিখে দেননি। ওষুধ সেবন করার পর অস্বাভাবিক প্র¯্রাব শুরু হয় তার। একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে জ্ঞান হারান জুবায়ের। রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বিষ্ময় প্রকাশ করেন। জুবায়েরকে সুস্থ্য করতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন চিকিৎসকরা। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তি ওষুধের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। দিন মজুর যুবায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষায় তার শেষ সম্ভল ৫ হাজার টাকা খুইয়ে ওষুধ কেনার টাকা নেই তার কাছে। তারপর আবার পরিবারের ভরন পোষনের চিন্তা।
ওই সময় কর্ত্যব্যরত ডাক্তার জানান, ফার্মেসী থেকে নেয়া ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে প্র¯্রাবের রাস্তায় জটিল সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে যে ওষুধগুলো দেয়া হয়েছে তা সেবন করলেও সুস্থ্য হতে অনেক সময় লাগবে। পুরোপুরি সুস্থ্য হতে হলে বরিশালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে। এতে আনুমানিক ৭ হাজারের বেশি টাকা খরচ হবে। যুবক জুবায়ের দিন মজুর হওয়ায় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তাই পরিবার নিয়ে অনাহার ও অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঝালকাঠি কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগে জুবায়ের এসব কথা উল্লেখ করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মেসার্স ফাতিমা মেডিসিন এর প্রোপ্রাইটর রিজওয়ানুল আতিক তন্ময়। তার ড্রাগ লাইসেন্স নং- বি. এস ৪১০১। এ ফার্মেসী থেকে গত ২৯ জুলাই বিকেলে এ ওষুধ কিনেন জুবায়ের।
ফাতিমা মেডিসিনে ওষুধ বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসান’র কোন প্রতিষ্ঠানিক সনদ নেই স্বীকার করে জানান, আমি অনেক বছর যাবত ফার্মেসীতে কাজ করি। সেই ধারণা থেকে প্র¯্রাবে জ¦ালাপোড়ার জন্য ওই ওষুধ গুলো দিয়েছি। সাধারন অসুস্থতার জন্য ওষুধ বিক্রির অভিজ্ঞতা অনেক পূর্ব থেকেই আছে। প্র¯্রাবে জ¦ালাপোড়া স্বাভাবিক রোগ কি না ? এমন প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব না দিয়ে নীরবতা পালন করেন তিনি।
মেসার্স ফাতিমা মেডিসিন এর প্রোপ্রাইটর রিজওয়ানুল আতিক তন্ময় জানান, ‘এ ধরনের রোগীদের এ ধরনের ওষুধ পূর্বে অন্য রোগীদের দিয়েছি। এতে ভাল হওয়ার কথা। আমার নানীকেও এই ওষুধ দিয়েছিলাম তাতে তিনি সুস্থ হয়েছেন। আর আমার অনুপস্থিতিতে দোকানের কর্মচারী মোহম্মদ হোসেন এ ওষুধ বিক্রী করেন। তবে তার ওষুধ বিক্রী করার কোন প্রশিক্ষন নেই’।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রসাশক মো: জোহর আলী বলেন ‘ডাক্তরী ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন এন্টিবায়টিক ওষুধ বিক্রী করা অন্যায়’।