সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আপিল করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একে কুদরত পাশা।জানা যায়, গত ৪ জুলাই তিনি সহকারি ভূমি কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, দিরাই উপজেলার কাইমা মৌজায় ডিসি খতিয়ান ভূক্ত জমির পরিমান। দাগ নং ও জমির পরিমান। এবং প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে কাবিকা, কাবিটা, টিআর প্রকল্পে মোট কত টাকা বরাদ্ধ? ওই বরাদ্ধের আওতায় কতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছ তার তালিকা। প্রকল্প ভিত্তিক বরাদ্ধ সহ। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দিরাই উপজেলার কতটি মসজিদে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের তারিখ সহ মসজিদের তালিকা।
আবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারি কমিশনার ভূমি ২৫ জুলাই ই-মেইলে জানান, চাহিত তথ্যাদি রেকর্ড ম্যানুয়াল অনুযায়ী নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সুনামগঞ্জ এর কের্ড শাখা হতে প্রদানের প্রচলিত রীতি ও পদ্ধতি রয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জ রেকর্ড রুম শাখা হতে নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে সংগ্রহের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
উক্ত জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে, সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একে কুদরত পাশা জেলা প্রশাসক বরাবরে আপিল করেছেন। আপিলে তিনি উল্লেখ করেন, আমার চাহিত তথ্য আইনে বারিত নয়, আমার চাহিদা অনুযায়ী তথ্য প্রদান করা হয়নি। আমাকে তথ্য প্রদান না করে রেকর্ড ম্যানুয়াল অনুযায়ী নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে তত্য সংগ্রহ করার পরামর্শ প্রদান করে আমার নিকঠ ই-মেইলে পত্র প্রেরণ করা হয়। আমি তথ্য প্রাপ্তির আবেদনকারি ওই ই-মেইলে সন্তোষ্ট না হয়ে আমার চাহিত তথ্য প্রাপ্তির জন্য আপিল করলাম। অনরূপভাবে দিরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তথ্য না দেওয়ায় আপিল দাখিল করা হয়েছে।
এব্যাপারে কুদরত পাশা জানান, তথ্য প্রাপ্তি মানুষের অধিকার ২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইন সবাইকে সে সুযোগ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত হবে। কিন্তু কর্তাব্যাক্তিরা কেন যে আইন মানছের না তা আমারবোধগম্য নয়। এসডিজি অর্জন করতে এ তথ্য অধিকার আইন অনেকটা সহায়ক হবে।