রাজবাড়ীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬৬ জনে পৌছেছে।
তবে ডেঙ্গু সনাক্ত করনের মূল উপাদান হিসেবে যে কিট প্রয়োজন তা প্রয়োজনের তুলনায় রয়েছে কয়েকগুন কম। এ পর্যন্ত ৩ জন ডেঙ্গুতে মারাত্বক ভাবে আক্রান্তের কারণে তাদের ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্তরা স্থানীয় সহ ঢাকা থেকে এ রোগ নিয়ে রাজবাড়ীতে এসেছেন।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর হাসাপতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৩ জন। বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪জন এবং পাংশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে জেলায় ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে ৬৬জন। তবে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলার সদর হাসপাতাল সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি রয়েছে ২২ডেঙ্গু রোগী।
রোগীরা বলেন, তারা বেশিরভাগই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। রোগীদের প্রথমে জ¦র নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, ডেঙ্গু পরিক্ষার মাধ্যমে তাদেরডেঙ্গু রোগ সনাক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি নিচ্ছেন। তবে ঢাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন রোগীরা ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নিচ্ছেন চিকিৎসা। চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরতে শুরু করছেন। অনেক রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিপক কুমার বিশ^াস জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী আসছে। আজও নতুন করে ১০জন ভর্তি হয়েছেন। কিছু কিছু রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ১৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজবাড়ীর সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকিরা ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। আমাদের হাতে এখনো বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কীট রয়েছে। ইতোমধ্যে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট চেয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।