বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রশাসন ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মাঠে নেমেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন। তারা কাস্তেধরে কাটতে শুরু করেন মাঠে জন্মানো ঘাস। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন সামনে এই দৃশ্য এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার এই পদক্ষেপ দেখে এগিয়ে আসেন আরো অনেকে। লক্ষ্য একটাই চিতলমারী উপজেলাকে ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে হবে।
সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন জানান, চিতলমারীতে এখনো পর্যন্ত কোনো ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। তবে আসন্ন ঈদে ঢাকা হতে আগতরা ডেঙ্গু জীবাণু বহন করে নিয়ে আসলে তা ছড়াতে পারে। তবে রোগীর চিকিৎসা পরামর্শ দেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরইমধ্যে প্রায় ১৩ কিলোমিটার খালের দীর্ঘদিনের কচুরিপনা পরিষ্কার করা হয়েছে। যার মধ্যে বাবুগঞ্জ থেকে চিতলমারী বাজার পর্যন্ত মরা-মধুমতি নদীর প্রায় ছয় কিলোমিটার এবং চিতলমারী বাজার থেকে বাখেরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত মরা-চিত্রা নদীর প্রায় সাত কিলোমিটার। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ির আশপাশসহ গোটা এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে এখন সরব রয়েছে চিতলমারী। প্রশাসনের পক্ষ হতে অব্যাহত রয়েছে প্রচারণা। বিভিন্ন স্থানে ফগার মেশিন দ্বারা স্প্রে করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতি রোধে পিছিয়ে নেই চিতলমারী থানা পুলিশও শনিবার (৩আগষ্ট) দুপুর ১২টার দিকে ওসি মীর শরিফুল হকের নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক একটি র্যালী বের হয়। র্যালিটির নেতৃবৃন্দ সদর বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাছ বাজারে পাশে পথ সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা করেন। অপরদিকে উপজেলার স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্ব- উদ্যেগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করছেন।