দেশে সবচেয়ে বেশি রোগী সামলানো এই হাসপাতালে বর্তমানে আইসিইউতে ৬২টি শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি নবজাতকদের জন্যে।গুরুতর অসুস্থদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জুনে ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয় ক্রমশ তা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যার সঙ্গে আইসিইউ পাওয়াও কঠিন হয়ে ওঠে।অনেক বেসরকারি হাসপাতালে এই সুবিধা না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীদের আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত একটি শিশুকে আইসিইউর জন্যে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে বিফল হন বাবা-মা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর খিলগাঁওয়ে একটি হাসপাতালে আইসিইউতে তাকে ভর্তি করা গেলে শিশুটি বাঁচেনি।এই অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি সভায় ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউয়ে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এটা ছাড়াও ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গুর ধকল সামলাতে সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখতে প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক নিশ্চিত করতে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।ঈদের ছুটিতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, সমীর কান্তি সরকার, পরিচালক (এমআইএস) ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী, লাইন ডিরেক্টর (হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট) ডা. এমএম আকতারুজ্জামান, জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আইসিইউয়ে সিট বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। দুই-একদিনের মধ্যে এসব বেড প্রস্তুত হয়ে যাবে।”