স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকা-হোমনা রুটের অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন মালিকরা। বাস থেকে চাঁদা আদায়, রুটের আনুষাঙ্গিক খরচ না মেটানো এবং হিসাব নিকাশসহ মালিকদের মূল্যায়ন না করায় মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতির সঙ্গে অন্যান্য মালিকদের দূরত্ব তৈরি হওয়া বিদ্যমান সমস্যার কারণে মালিকদের একটি বড় অংশ গত বুধবার সারাদিন বাস বন্ধ রেখে ধর্মঘট করে।
এ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরীর সঙ্গে তার উপজেলাস্থ পাথালিয়াকান্দির বাসভবনে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন বাস মালিকরা। ওই দিনের বৈঠকে ঢাকা- হোমনা রুটের আন্দোলনকারী অংশের মালিকদের নেতা মো. নাসির উদ্দিনকে নতুন সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি জহিরুল হক উজ্জ্বলকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মনির ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমঝোতা হলে চব্বিশ ঘণ্টা পর বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন মালিকরা।
বাস ধর্মঘটের ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। হোমনা- গৌরিপুর রুটে গত একদিন সিএনজির ভাড়া নির্ধরিত ৪৫ টাকার স্থলে ৬০টাকা গুণতে হয়েছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বচসার ঘটনাও ঘটেছে। ধর্মঘট প্রত্যাহারের ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাস চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে নীলা পরিবহনের মালিক ও আন্দোলনকারী অংশের নেতা মো. নাসির উদ্দিন জানান, ‘বুধবার রাতে স্থানীয় এমপি সেলিমা আহমাদ মেরীর বাসায় মালিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। দীর্ঘ বৈঠকের পর আমাকে সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি জহিরুল হক উজ্জ্বলকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করার আশ^াস দিলে উপস্থিত সকল মালিক মিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করি।’
জহিরুল হক উজ্জ্বল বলেন, ‘সমঝোতার মাধ্যমেই বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে।’
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী বলেন,‘এমপি মহোদয়ের সঙ্গে তার বাসায় মালিকদের বৈঠক হয়। এতে আন্দোলনকারী মালিকদের নেতা নাসির উদ্দিনকে সভাপতি এবং উজ্জ্বলকে সহ-সভাপতি করার আশ^াসে তাদের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। এখন বাস চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে।