উভয় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের যৌথ সিদ্ধান্ত মোতাবেক পবিত্র ঈদ-উল-আযহা, সরকারী ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা ৯দিন বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি বন্ধ ঘোষনা করেছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী সাধারণের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
নোটিশ অনুযায়ী, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শুক্রবার (৯ আগষ্ট) থেকে বাংলাদেশের সরকারী ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি পরবর্তি জাতীয় শোক দিবস পালন(১৭ জুলাই) পর্যন্ত লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সকল ধরনের পন্য আমদানি রফতানি বন্ধ থাকবে। আগামি রোববার (১৮ জুলাই) পুনরায় সচল হবে বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম। এ বিষয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন, কাস্টমস্, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইমিগ্রেশনের মাঝে পত্র বিনিময় করা হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতের চ্যাংরাবান্দা শুল্ক স্টেশন উভয় দেশের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন আলোচনাক্রমে ০৯ জুলাই শনিবার থেকে আগামি ১৭ জুলাই শনিবার টানা ৯ দিন আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাহমুদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস্ সহকারি কমিশনার (এসি) আবদুস সালাম ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, উভয় দেশের আমদানি-রফতানিকারক সমিতি ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন ঈদ উপলক্ষে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ৯দিন বন্ধ রাখবেন বলে চিঠি দিয়েছেন। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম চলবে বলেও জানান তিনি।