পটুয়াখালীর বাউফলে ঈদ-উল-আযহা’র দিনে ডেঙ্গু রোগীরা বিপাকে পরেছেন। উদ্বেগ উৎকন্ঠা আর আতংকে সময় পার করছেন হাসপাতালের বেডে শুয়ে। আজ ১২জুন সোমবার বাউফল হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট থাকার পরেও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহেলায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। প্যাথলজি বিভাগ খোলা না থাকায় প্লাটিলেট টেস্ট করাতে পারছেন না ভর্তি রোগীরা। এদিকে প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকায় হাসপাতালের প্রবেশ পথে গড়ে উঠা ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ীরা সেবা গ্রহীতাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকা রাখছেন বলেও অভিযোগ করেন রোগীদের স্বজনরা।
জানাগেছে, গত মঙ্গলবার থেকে আজ ১২জুন সোমবার পর্যন্ত বাউফল হাসপাতালে ৪৮টি পরীক্ষা করা হলেও সনাক্ত করা হয়েছে ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী। যাদের অধিকাংশই চিকৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন আর কিছু রোগীকে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাউফল হাসপাতালে দুইজন রোগী ভর্তী রয়েছে। যাদের একজন রাজধানীর প্রাইভেট ফার্মে চাকুরী করেন অন্যজন জেলার দুমকি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ২য় বর্ষের ছাত্র।
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অনিয়মের বিষয় হাসপাতালে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার স্যারের সাথে কথা না বলে কিছু জানাতে পারবো না। কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসক মো: ফয়সাল হোসেন জানান, হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট মাহবুবুর রহমান ঈদু-উল-আযহার নামাজে গেছেন; নামাজ পরে এসেই প্যাথলজি খুলবেন। এ বিষয়ে প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মাহবুবুর রহমানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমি ছুটিতে আছি; আজ প্যাথলজি খুলবনা।