লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউপির মাসিমপুর গ্রামে বাল্য বিয়ে প্রস্তুতি গ্রহনের দায়ে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও মোসাম্মদ মুনতাসির জাহান কনে ফাতেমা আক্তার মুক্তার ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও কনে এবং অবিভাবকদের লিখিত অঙ্গিকার নিয়ে মুক্তি দেয়। কনের বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করায় প্রবাসী পিতা মোঃ মোক্তার হোসেন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাল্য বিয়ে আইনের লঘুদন্ড প্রদান করা হয়েছে মর্মে ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মদ মুনতাসির জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের হাজী বাড়ির প্রবাসি মোঃ মোক্তার হোসেনের মেয়ে এবং মাসিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মুক্তার সাথে পার্শ্ববর্তি রায়পুর উপজেলার পুর্ব চরপাতা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে এমরান হোসেন আইনজীবি দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বুধবার কনের পক্ষ নিজ বাড়িতে পুনরায় বিয়ের আয়োজন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিফাত আরা সুমির সমন্বয়ে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে কনে এবং অবিভাবকদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করায়। এ সময় ছাত্রী ফাতেমা আক্তার সুমির শিক্ষাগত সনদপত্র যাচাই করে এবং ভূয়া জম্মনিবন্ধন তৈরী করার দায়ে কনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী অফিসার মোসাম্মদ মুনতাসির জাহান বলেন,কনের পিতা অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় জেল না দিয়ে অর্থদন্ড করেছি। নোটারী পাবলিকের আইনজীবি অবৈধ প্রস্থ অবলম্বনের বিষয়টি উর্ধতম কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করবো।