হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে মামলা উত্তোলনের জন্য বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার পশ্চিম আশোকাঠী মহল্লার।
বুধবার সকালে ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন ফকিরের স্ত্রী ও মামলার বাদি নাজমিন আক্তার বলেন, কয়েকদিন পূর্বে মামলার আসামি আবদুর রব সরদার কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মামলা উত্তোলনের জন্য আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এছাড়াও তাদের (রব সরদার) অপর্কম আড়াল করতে স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে থানা পুলিশ ও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বক্তব্য দিয়ে আবদুর রব সরদার মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য স্থানীয় বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগি একই এলাকার ছাত্রদল ক্যাডার মারুফ সরদার ও তার সহযোগিরা গত ৯ আগস্ট দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার (নাজমিন) পুত্র সরকারী গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র অপু ফকিরের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে তিনিসহ তার স্বামী স্বপন ফকির ও তার ভাইয়ের ছেলে হাসান ফকির এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা অপু ফকিরকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি (নাজমিন আক্তার) বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি আবদুর রব সরদারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরও বলেন, আসামি পক্ষের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ সত্য নয়। নাজমিন আক্তারের মামলার ভিত্তিতে আবদুর রব সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।