জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির প্রকল্পে সময়মত কাজ না করা ও নি¤œমানের কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছর শেষ হলেও এখনও ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়নি। ৫ টি ইউনিয়নে কাজ সমাপ্ত হলেও নি¤œমানের কাজ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার বলেন সময়মত ও নিয়ম মেনে কাজ না করায় প্রকল্প সভাপতিদের টাকা দেওয়া হয়নি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্যে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির আওতায় দক্ষ উপকারভোগীর (নন ওয়েজ অর্থ) মাধ্যমে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৭শ ৫টাকা ব্যায়ে সাড়ারপাড়া ঈদগাহ মাঠের রাস্তায় কালভার্ট নির্মানের কথা থাকলেও তা নির্মান করা হয়নি। এ ছাড়া বাঁশখুর পুর্বপাড়া আঃ মান্নান মাষ্টারের বাড়ির পুর্ব পার্শ্বে ৩৯ হাজার ৭শ ৮৮ টাকা ব্যায়ে রাস্তায় ড্রেন নির্মানের প্রকল্প থাকলেও তা না করে কাজ সমাপ্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে প্রকল্প অফিসে। একই নামে এই প্রকল্প উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় নির্মান করা হয়েছে। একই ইউনিয়নে ২য় পর্যায়ে ৪০ হাজার টাকা ব্যায়ে মঠপাড়া মিলঘরের উত্তর পার্শ্বে কালভার্ট নির্মান না করে পুরাতন কালভার্টের উপরের পাটাতন তুলে দিয়ে নতুন পাটাতন তৈরী করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কালভার্টের দুই পাশে রেলিং দেওয়া হয়নি। রহমতপুর কবরস্থানের পার্শ্বে রাস্তায় ৪০ হাজার টাকা ব্যায়ে কালভার্ট নির্মান না করে সিমেন্টের রিং পাইপ দেওয়া হয়েছে। আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের জামালপুর মান্নান মাষ্টারের বাড়রি নিকট রাস্তায় ২য় পর্যায়ে ৫২ হাজার টাকা ব্যায়ে পুকুর পাড় প্যালাসাইডিংয়ের কাজ শুরুই হয়নি। এলাকার অটোভ্যান চালক মাহাবুব ও তার পরিবারের লোকজন নিজেদের উদ্যোগেই রাস্তার ধারে পুকুর পাড়ে বাঁশের মাচা দিয়ে চলাচল করছে। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কেওর্তা গ্রামের শফিকুলের বাড়ির সামনে ৬২ হাজার টাকা ব্যায়ে কালভার্ট নির্মানের প্রকল্প থাকলেও তা করা হয়নি। এলাকাবাসী নিজেরাই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়াও বাগজানা, ধরঞ্জি, আটাপুর, বালিঘাটা ও আওলায় ইউনিয়নে ১ম ও ২য় পর্যায়ে সমাপ্তকৃত কালভার্ট ও ইউড্রেনের কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কালভার্টের দুইপার্শ্বে রেলিংও দেওয়া হয়নি। ইজিপিপি কাজের দায়িত্বে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রায়হান শরীফ অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, সব প্রকল্পতো সঠিক ভাবে যাচাই করা যায়না কোন প্রকল্পে অনিয়ম হলে অন্য প্রকল্পে সেটা ঠিক করা হয়। তিনি আরো জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা সব নির্দেশনা মানেন না। অর্থ বছর শেষ হলেও কাজ শুরু না করার বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছাঃ নুর এ শেফা জানান প্রকল্পের টাকা উঠিয়ে অন্য হিসাবে রাখা আছে। সব অনিয়ম দূর করে চলতি মাসেই কাজ শেষ না করলে কোন টাকা ছাড় করা হবে না। তিনি আরো জানান কেউ কাজ না করলে আগামীতে কোন প্রকল্পের কাজ পাবেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চেয়ারম্যান জানান সব কিছু ম্যানেজ করেই আমরা সব কাজ করেছি। যারা কাজ শুরু করেনি তারাও কাজ শুরু করবে।