জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল পৌর এলাকা কোড়লগাড়ী গ্রামের কামাল হোসেন এর এক বিঘা জমির সম্পূর্ণ করলা গাছের গোড়া শত্রুতা মূলক কেটে ফেলেছে দূবৃত্তরা। ফলে ওই কৃষক সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত রোববার রাতে শত্রুতা মূলক ভাবে কামার হোসেন এর প্রায় ১ বিঘা করলার জমির ফসল তোলার পূর্ব মুহুতে সম্পর্ন গাছের গোড়া কেটে ফেলেছেন দূবৃত্তরা। এতে ওই কৃষকের প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।
কোড়লগাড়ী গ্রামের কৃষক জাহিদ হাসান বলেন, করলা চাষি কামাল হোসেন আমার চাচা,সে অতন্ত পরিশ্রমী একজন কৃষক। প্রতি বছর সব মৌসুমে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সবব্জি জাতীয় ফসল চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে। ওই টাকা দিয়ে সংসার ও ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ যোগান দেয়। শত্রুতা মূলক ভাবে তার করলা ক্ষেত কেটে ফেলায় অর্থনৈতিকভাবে সে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
করলা চাষি কামাল হোসেন বলেন, প্রতি দিনের ন্যায় সকাল বেলা করলার জমিতে গিয়ে দেখতে পাই মাচার উপরে সমস্ত গাছের পাতা ঢলে পড়েছে। গাছের গোড়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সব গাছের গোড়া কাঁটা এটা দেখে আমি চিৎকার দেই। এ বছর আমি ২ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছি। এতে আমার এ পযর্ন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে করলার ফলন খুব ভাল হওয়ার আশায় স্বপ্ন দেখছিলাম। এই আশা ও স্বপ্ন বাস্তবে রুপ পাওয়ার আগে’ই শত্রুরা কেড়ে নিল। আমার আর অবশিষ্ট এক বিঘা জমির করলার ক্ষেত আছে সেটা কাটেনি সেটা ঘরে আসবে কি না এই নিয়েও সংকায় আছি। বর্তমান বাজার মূল্য এ অবস্থায় থাকলে ওই কেটে ফেলা করলার জমি হতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব হতো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কামার হোসেন একজন আদর্শ কৃষক। তার করলা ক্ষেত কেটে ফেলায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জরিত অপরাধীকে তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।