লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরপত্রে অনিয়ম তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য রোগীর পথ্য, স্টেশনারি ও ধুপী কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতে দরপত্র আহ্বান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দরপত্র অনুযায়ী গত ১৯ আগস্ট শেষ সময় পর্যন্ত ৩টি গ্রুপে ২০টি দরপত্র বিক্রি হয়। ২০ আগস্ট ১৩টি দরপত্র দাখিল হলে পরদিন দরপত্র যাচাই-বাচাই কমিটি ৪টি দরপত্র বাতিল করে ৯টিকে বৈধতা ঘোষনা দেন। কিন্তু অফিস আদেশ না দিয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌখিক আদেশ দিয়ে পুরাতন ঠিকাদারকে পথ্য সরবরাহ করতে নিষেধ করে নতুন ঠিকাদার আবদুর রাজ্জাক লেবুকে পথ্য সরবরাহ করতে মৌখিক নির্দেশ দেন হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম। অফিস আদেশ ছাড়া নিজের ইচ্ছায় ঠিকাদার নিয়োগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। দরপত্রের ১১ অনুচ্ছেদ অমান্য করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ ও অফিস সহকারী স্বেচ্ছাচারী মৌখিক আদেশের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৩জন ঠিকাদার। অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ অভিযোগ তিনটি সিভিল সার্জনকে পাঠান। সিভিল সার্জন গত ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একইসঙ্গে তদন্ত কমিটিকে আগামি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ সিভিল সার্জনকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডা. মেশকাতুল আবেদ বলেন, প্রধান অফিস সহকারী আমাকে না জানিয়ে মৌখিকভাবে কাজের নির্দেশ দেওয়া বিধিসম্মত নয়। তাই দরপত্র আপাতত স্থগিত করে পুরাতন ঠিকাদারকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।