ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কমলা বেগম (৪৫) নামের ৩ সন্তানের এক জননী মারা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত কমেলা বেগম উপজেলার বড় সিমলা গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের ননদ হাজেরা বেগম জানান, তার ভাবীর ৫ দিন আগে থেকে জ¦রে ভুগছিল। এরপর চিকিৎসক দেখিয়েও কোন কাজ হচ্ছিল না। সে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার রাতে তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তার ডেঙ্গু হয়েছে। এরপর সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সে মারাগেছে।
কালীগঞ্জ হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক সুলতান আহম্মেদ জানান, বেশ কয়েক দিন আগেই কমলা বেগম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে আনা হয়েছে অনেক বিলম্বে। যে কারণে তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল। এমন অবস্থার মধ্যে তাকে রেফার্ড করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কেউ তাকে অন্যত্র নিয়ে যায়নি। রোগীর সাথে আসা স্বজনদের মধ্যে দায়িত্বশীল কেউ ছিল না। এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কমলা বেগম অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর তাকে রেফার্ড করা হলেও রোগীর স্বজনেরা তাকে অন্যত্র নিয়ে যাননি। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।