বগুড়ার শাজাহানপুরে শ্যালকের সাবলের আঘাতে গুরুত্বর আহত দুলাভাই শাহজাহান আলী (৩৫)মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে মারা গেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া পৌরসভা এলাকা নিশ্চিতন্তপুরের ঢাকন্তা গ্রামে।
নিহত শাহজাহান আলী বগুড়া সদরের শেখবাড়ী এলাকার মৃত গোফফারের ছেলে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল কুদ্দুস ডিলু জানান, বগুড়া সদর এলাকার শাজাহান আলী গত কয়েক বছর আগে শাজাহানপুর উপজেলার অর্ন্তরগত ঢাকন্তা গ্রামে বিয়ে করে নিশ্চিন্তপুর চারমাথা বাজারে এলাকায় ইলেক্ট্রিক দোকানের ব্যবসা করে আসছিলেন।
হত কয়েক দিন আগে শাজাহান আলী ঢাকন্তা গ্রামে তার মামা শ্বশুড় হেলাল উদ্দিনের নিকট থেকে একখন্ড জমি ক্রয় করেন। এমতাবস্থায় মামা শ্বশুড় হেলাল উদ্দিনের ছেলে শ্যালক রনি জমির টাকা তার বাবাকে না দিয়ে তাকে দিতে হবে বলে যায়। এতে করে অপারকতা জানিয়ে জমি ক্রয়ের টাকা মামা শশুর হেলাল উদ্দিনকে দিলে শাহজাহান আলীর উপর ক্ষুব্ধ হয় শ্যালক রনি।
গত বৃহস্পতিবার শাজাহান আলী স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঢাকন্তা গ্রামে শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে এলে মামতো শ্যালক রনি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই লোহার সাবল নিয়ে শাজাহানের উপর হামলা চালায়। এ সময় সে সাবল দিয়ে শাহজাহান ইলীর মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপুর্যপুরি আঘাত করে। এতে করে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পেেড়ন তিনি। পরে মূমুর্ষ অবস্থায় শাজাহান আলীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিজনরা। চিকিৎসাধিন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শাহজাহান আলী।
এদিকে শাহজাহানআলীকে মারপিট করেই ক্ষ্যান্ত থাকেনি রনি পরবর্তিতে নিশ্চিতপুর বাজারে এসে শাজাহানের ইলেক্ট্রিক দোকানে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দোকানে লুটপাট চালায় সে।
ওই ঘটনায় শাজাহান আলীর স্ত্রী কাজলী বেগম এবং নিশ্চিন্তপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই ওবায়দুল আল মামুন জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শাজাহান আলী মারা যান। মামলা দায়েরের পরপরই ঢাকন্তা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রনিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।