ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সিকদার উপবৃত্তি দেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় হাজারের বেশি টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা দিয়েও উপবৃত্তি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে ওই অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের কেউ টাকা নেয়নি মর্মে জোর করে সাদা কাগজে লিখিত আদায় করে। জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার থেকে ষোলশত পর্যন্ত নিয়েছেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী শৈলেন্দ্রনাথ ও মোঃ আবুল বাশারের মাধ্যমে এই টাকা আদায় করেছেন। উপবৃত্তির ফরম পূরণ ও মোবাইলে অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন প্রকার টাকা নেয়ার বিধান নেই। তবে ওই অধ্যক্ষ কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে টাকা আদায় করছে। এভাবে একাদশ শ্রেণি থেকে শুরু করে, ডিগ্রি ও অনার্স শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
। অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিষয় একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমে আসলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কিন্তু টাকা দিয়েও উপবৃত্তি না পেয়ে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে তাদের টাকা ফেরত চায়। বরং তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে অধ্যক্ষ তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে একটি অঙ্গীকার পত্র রাখেন। এব্যাপারটি জানাজানি হলে সংবাদপত্র কর্মীরা ঘটনার স্থানে উপস্থিত হয়। অধ্যক্ষ ক্ষুপ্ত হওয়া সাংবাদিক ও অভিযোগ কারীদের পুলিশকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী হ্যাপি আক্তার জানান, উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে কলেজের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী মোঃ আবুল বাশার ও শৈলেন্দ্রনাথ এক হাজার ছয় শত বিশ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আমি উপবৃত্তি পাইনি।
অপর এক শিক্ষার্থী মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে পিয়ন আবুল বাশারের কাছে ১৫শত টাকা নিয়েছে। এখন টাকা ফেরত চাইলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়নি বলে সাদা কাগজে লিখিত রেখেছে।
৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী মোঃ আবুল বাশার জানান, অধ্যক্ষের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে আমি ও শৈলেন্দ্রনাথ টাকা নিয়েছি।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান সিকদার জানান, উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে আমার নাম ভাঙ্গীয়ে যদি কেহ টাকা নিয়ে থাকে আমি দায়ী না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।