যুগের পরিবর্তনে মানুষ যখন ফেসবুক,ভাইবার,টুইটারসহ সহজলভ্য টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের খবর,গান, ইতিহাস,ঐতিহ্য,স্বাস্থ্য,চিকিৎসা সকল কিছুই দেখতে শুনতে পাচ্ছেন। পৃথিবী যখন হাদেও মুঠোয়,ঠিক সে মুহূর্তে এ সকল কিছু থেকে বিরত থেকে নিয়মিত রেডিও শোনেন রাজমিস্ত্রী কাম মুদি দোকানী সরৗয়ার্দি হোসেন। ৪৫ বছর ধরে এখন পর্যন্ত তিনি নিয়মিত রেডিও শুনে আসছেন। এই রেডিওর শোনাটা এখন তার কাছে নেশায় পরিণত হয়েছে। রেডিও’র সাথে দোকানে সংযোজন করে নিয়েছেন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর লাইন। ফলে রেডিও’র মাধ্যমে টেলিভিশনের সংবাদ,গান,নাটক,সিনেমা শুনছেন। তবে দেখতে পারছেন না।
পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের বালুচর মহল্লার মৃত মোজাফফর প্রাং এর ছেলে রাজমিস্ত্রী সরওয়ার্দি এখনও নিয়মিত শুনছেন রেডিও। সারাদিন রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষে সন্ধ্যায় দোকান খুলে বসেন। ছালু করেন তার রেডিওটি। ১৯৭৪/৭৫ সাল থেকে রেডিও ব্যবহার করে নানাধরনের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনে যাচ্ছেন। কয়েক দফা পরিবর্তনের পর বর্তমান ন্যাশাল ব্যান্ডের রেডিওটি পুরাতন হয়ে গেছে। মাঝে-মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেটি মেরামত না করা পর্যন্ত তিনি স্বস্তি পান না। একসময় কাজে গিয়েও রেডিও চালু করে দিয়ে কাজ করতেন। রেডিওর অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাতে ঢাকা থেকে প্রচারিত ‘দুর্বার’ তার প্রিয় একটি অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত নাটক,আধুনিক গান, খবর ও স্বাস্থ্য ও কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান তিনি বিশেষভাবে শুনে থাকেন। বিবিসির খবর শোনার জন্য একসময় উদগ্রিব থাকতেন।
আধুনিকযুগে রেডিও শোনার বিষয়ে সরাওয়ার্দি জানান,ছোট বেলা থেকেই রেডিও শুনছি। তাতো ৪৫ বছর হবেই। শুনতে শুনতে রেডিওর অনুষ্ঠানের পাগল হয়ে গেছি। তাই আমার কাছে রেডিও এখন প্রিয়। তিনি বলেন,দোকানে বসে রেডিওতে নানা খবর ও অনুষ্ঠান শুনি,সব জানতে পারি। এটা আমার কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। অবশ্য টেলিভিশন সংযোগ করে নেওয়ায়,এখন দেখা না গেলেও সবই জানা যায়।