চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জালিয়াতি করে অধ্যক্ষপদে নিয়োগের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে তদন্তের আবেদন করেছেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা। ওই মুক্তিযোদ্ধা নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের গন্ধশাইল গ্রামের মৃত জবির উদ্দিনের ছেলে আবদুল মজিদ। গত ১৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা অভিযোগ সম্বলিত ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। নাচোল উপজেলার রাজবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ১৯৯৯ সালের ২৩ মার্চ রাজবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষপদের জন্য নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মিজানুর রহমান কলেজের নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না হয়েই জালিয়তির মাধ্যমে অধ্যক্ষপদে নিয়োগ নিয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ ওই দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মিজানুর রহমান নাচোল উপজেলার ভাতসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া আবেদনের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্র অনুযায়ী দেখা যায় কলেজের অধ্যক্ষপদে চাকরিতে ৩১ মার্চ/১৯৯৯ খ্রি. তারিখে যোগদান করলেও তিনি ১০মে/২০০০ খ্রি তারিখ পর্যন্ত নাচোল উপজেলার ভাতসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধা এবং বেতনভাতাদি ভোগ করেছেন। মিজানুর রহমান চাকরি বিধির ১৭ ধারা ভঙ্গ করে অবৈধভাবে এ নিয়োগলাভ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে ভূজইল গ্রামের রইসুদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রেক্ষিতে সরজমিন তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বেতন ভাতা স্থগিত করেন। দীর্ঘ ৭/৮ বছর বেতন ভাতা বন্ধ থাকার পর অধ্যাক্ষ মিজানুর রহমান কৌশলে তাঁর বড়ভাই গোলাম মোস্তফাকে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং ছোট ভাই কামাল উদ্দিনকে সদস্য করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তদ্বিরের মাধ্যমে পুনরায় বেতনভাতাদি চালু করেন। এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।