জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক ও এর আশপাশে এলাকায় রাস্তার দুই ধারে বিদ্যুৎতিক খুটি ও গাছে লাগানো শত শত অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুনসহ নামে-বেনামের বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোবারক হোসেন পারভেজ অভিযান পরিচালনা করে ঐসব অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুনসহ নামে-বেনামের বহু বিজ্ঞাপন অপসারণ করেন।
জানা-গেছে, কালাই উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক এবং আশপাশসহ কালাই-বগুড়া মহাসড়কের দুই ধারে বেশির ভাগ বিদ্যুৎতিক খুটি ও গাছে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল, ডাক্তার, বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংক, স্কুল-কলেজ, রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা এবং নানা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে। ঐসব ব্যক্তিদের বিনা খরচে, কোনো ধরনের বাধা ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পণ্যের প্রচারণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কালাই-বগুড়া মহাসড়কের দুই ধারে শত শত গাছকে। গাছের গায়ে লোহার পেরেক মেরে ঐসব শত শত অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন কারণে গাছগুলো ঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। পরিবেশ বান্ধব গাছের প্রতি মানুষের অত্যাচারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্টের পাশাপাশি অক্সিজেন সাভাবিক না নেওয়ার কারণে শত শত গাছ দিন দিন শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে কালাই থানা পুলিশ ও পল্লিবিদ্যুৎ এর সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোবারক হোসেন পারভেজ বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সকল মানুষের। গাছ আমাদেও অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়, ফল-ফুল ও জ¦ালানি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। ঝড়-বন্যা থেকে রক্ষা করে। অথচ ইদানীং উপজেলার সর্বত্র দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের স্বার্থেও জন্য গাছে গাছে বড় বড় পেরেক ঠুকে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দিয়েছে। কোন গাছ বা স্থাপনায় ব্যানার বিলবোর্ড লাগানো আইনত নিষিদ্ধ। পরিবেশ রক্ষায় এবং ক্লিন ও গ্রীন উপজেলা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে আমি মনেকরি।