গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনাইডাঙ্গা বৈকন্ঠপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন থেকে এম, পি, ও ভূক্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষক, কর্মচারীগণ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এতে করে এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশংঙ্খা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা হতে প্রায় ১৪ কিঃমিঃ দূরে নদী বেষ্টিত দীপ এলাকায় হরিরামপুর ইউনিয়নের জনবহুল ও ঘনবসতি তেতুঁলতলী বাজার এলাকায় সোনাইডাঙ্গা বৈকন্ঠপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৭ সালে ০.৭৫ একর জমির উপর প্রতিষ্টার পর থেকে ১১ জন শিক্ষক/কর্মচারী নিয়ে প্রায় দুই শতাধীক শিক্ষার্থীদের শান্ত ও মনোরোম পরিবেশে পাঠদান করে আসছেন। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রাথমিক অনুমতি ও ২০০২ সালে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করার পর ২২ বৎসর যাবত বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। দীর্ঘ দিন অতিবাহি হলেও প্রতিষ্টানটি এম পি ও ভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষক/ কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বিদ্যালয়টির পার্শ্ববর্তী যেসব বিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ৩ কিঃ মিঃ দক্ষিনে রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে রাখালবুরুজ উচ্চ বিদ্যালয়, ৪ কিঃ মিঃ উত্তরে হরিরামপুর বালিকা ও ক্রোড়গাছা বি এল উচ্চবিদ্যালয় এবং ৬ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্বে রামচন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র সরকার জানান, বিদ্যালয়টি নির্ভূত পল্লী ও চরাঞ্চলে অবস্থিত। এলাকাটি অত্যন্ত গরীব, গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের সূলভে শিক্ষা অর্জন করার লক্ষেই বিদ্যায়লটি প্রতিষ্টিত করা হয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারী কোন সহায়তা না পাওয়ায় একদিকে পাঠ দানে বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে, অপর দিকে এম পি ও ভূক্তি না হওয়ায় শিক্ষক/কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সেইহেতু, বিদ্যালয়টি অবকাঠামো উন্নয়নে ও এম পি ও ভূক্তি করনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।