মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় আমরা যেটা পাবো সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেছেন- পুলিশের ডিআইজি (মিডিয়া এ- প্লানিং) এসএম রুহুল আমিন। বুধবার বিকালে সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা নিহত রাফির পিতা-মাতা, শিক্ষক ও সহপাঠিদের সাথে আগামি কাল (বৃহস্পতিবার) পর্যস্ত কথা বলবো। যেহেতু এ মামলা নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কাজ করছে তারা প্রতিনিয়তই মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলছেন সেহেতু আমরা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আমরা মাত্র কাজ শুরু করলাম। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলবো। হত্যাকান্ডের আগে-পরে পুলিশের কোন গাফলতি আছে কিনা বা এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে কি করা উচিত তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করে বিষটি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি ও শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ। এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের মধ্যে ৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে রবিবার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্ধি দিয়েছে মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিম। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারেক্তির ভিত্তিতে পিবিআই ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের আটক করেছে।
এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।