দীর্ঘ দিন ধরে ফরিদপুর রেল স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট না থাকায় ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়েছে। এর ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একজন টিটি ট্রেনের ভিতরে টিকিট কাটার দায়িত্ব পালন করলেও তাদের কর্মকা- নিয়ে ট্রেনের কর্মচারী ও যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯৮ সালে ফরিদপুরের পুকুরিয়া থেকে রাজবাড়ী পযর্ন্ত লোকসানের কথা বলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রেল লাইন তুলে নেয় সরকার। ট্রেন বন্ধ হওয়ার পর থেকে আন্দোলনে নামে ফরিদপুরবাসী। ফরিদপুরবাসীর কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার পুনরায় ট্রেন লাইন স্থাপন করে ২০১৪সালে ২০ আগস্ট থেকে একটি আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে ফরিদপুর এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটি ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর মধ্যে প্রতিদিন দুইবেলা আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন সকাল ৮.৫০ মিনিটে রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর এসে ৯.১০ মিনিটে আবার রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে ফিরে যায়। ওই ট্রেনই আবার সন্ধ্যা পৌনে ৬.১৫ দিকে ফরিদপুরে এসে ৬.৪০ মিনিটে পুণরায় রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। যাত্রাপথে আমিরাবাদ, পাঁচুড়িয়া নামের নির্ধারিত দুই স্টেশনে এবং খানখানাপুর, বসন্তপুর নামে অনির্ধারিত দুটি স্টেশনসহ মোট চারটি স্টেশনে ট্রেনটি থামে। দীর্ঘ দিন ধরে স্টেশনের কাউন্টপারে টিকিট না থাকায় যাত্রীরা টিকিট নাকেটেই ট্রেনে যাতায়াত করছে। ফলে যাত্রীরা ভোগান্তি ও হয়রানির মধ্যে পড়ছে।
ট্রেন কর্তৃপক্ষের সূত্র থেকে জানাযায়, টিকিট থাকাকালীন সময়ে একদিনে দুই দফা টিকিট বিক্রি করে আয় হতো পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। এখন ট্রেনের ভিতরে টিটি যে টিকিট কাটেন তা থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। এর ফলে ট্রেনের আয় কমে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফরিদপুর রেল স্টেশনের নিরাপত্তাবাহিনীর ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, একমাস ধরে টিকিট নেই। এর আগেও টিকিট ছিরনা কিছুদিন। যাত্রীরা ফাউগেছে। যাত্রীরা টিকিট কাটার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। পরে কাউন্টার থেকে থেকে বলা হয় টিকিট নাই। যাত্রীরা বিনা টিকিটে ট্রেনে যায়। টিটি আছে ছয বগিতে একজন। এটেন্ডডেন্স, ইলেক্টেশিয়ান, পুলিশ ছয়টি বগি ভাগ করে নিয়ে ও হরিলুট করে খাইতেছে। ট্রেনটাকে লুইটা খাইতেছে।
ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীগামী যাত্রী সুমাইয়া জানান, টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাইনি। কী আর করা
ফরিদপুরের স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, ফরিদপুর স্টেশনের টিকিট মজুত শেষ হয়ে গেছে। আমাদের রেলওয়েতে টিকিট শেষ হওয়ার দু-মাস পূর্বেই টিকিটের ইন্ডেন দিতে হয়। আসলে টিকিটা চট্টগ্রাম থেকে আসে। আমি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি। আসা করছি অচিরেই টিকিট স্টেশনে এসে পৌছবে। টিকিট যাত্রীদের হাতে তুলে না দিতে পারার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।