কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর থেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি আটক হয়েছে। ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেন। আটককৃত শামসুল আলম (৬৫) উক্ত ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড রিজার্ভ পাড়ার মৃত মোস্তাক আহমদের পুত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একই এলাকার চাঞ্চল্যকর লবণ চাষী হাজী সৈয়দ আলী হত্যা মামলার পলাতক এ একমাত্র আসামিকে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ দল নিজ বাড়ি থেকে ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে বারোটার দিকে আটক করেন। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বের আটক অভিযানে এস আই নিজাম উদ্দিনসহ সঙ্গীয় পুলিশ দল অংশ নেন। তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ হত্যা মামলায় এ সাজাপ্রাপ্ত আসামী কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যবসায়ী একই এলাকার মৃত আজগর আলীর পুত্র। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আটক শামসুল আলম গং ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশ্য দিন দুপুরে হাজী সৈয়দ আলীর বসত ভিটার অদূরে প্রায় দুই কানী জমি জবর দখল করতে থাকে। এ সময় সৈয়দ আলী তার লোকজন নিয়ে দখলকারীদের বাধা দিতে যান। এক পর্যায়ে শামসুল আলম তাকে বুক বরাবর গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। হত্যাকান্ডের পর পর নিহতের মেঝ ছেলে লবণ চাষী নুরুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হত্যা মামলা রুজু করেন। এতে একমাত্র আসামি করা হয় শামসুল আলম কে। মামলা নং এস টি ৬৬/৯০। এদিকে পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি কে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। এর ২/৩ বছর পর উক্ত আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এদিকে আসামিপক্ষ আটক শামসুল আলম এর পিতাকে অসুস্থ দেখিয়ে ২০০১ সালে তাকে প্যারোলে মুক্তি করে। অন্যদিকে তারা নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ও সাজা বাতিল চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন শামসুল আলম গোপনে সৌদি আরবে পাড়ি দেয়। উচ্চ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে তার যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। এবং তাকে আটক পূর্বক সাজা উপভোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কে একাধিক বার তাগাদা দেন। ইত্যবসরে মাস দুয়েক আগে শামসুল আলম সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসে। আসার পর সে স্থানীয় লোকদের কে মামলা সম্পর্কে নানা মিথ্যাচার করতে থাকে। নিহতের পুত্র ঈদগাঁও মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক মনজুর আলম জানান, শামসুল আলম গং কর্তৃক দখলকৃত সম্পত্তির অধিকাংশই বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবারের দখলে রয়েছে।