জমির সীমানা নিয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ছুরিকাঘাতে ৪জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ব্যাংক কর্মচারী ও তার ছেলেকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আদিতমারী থানা পুলিশ রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা ইখতিয়ার আলী (৫৫) ও তার ছেলে আবদুল আলিম (২৪)কে আটক করেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা ইখতিয়ার আলীকে প্রধান আসামি করে ৬জনের নামে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহত দুলাল ও ইউনুছের বাবা মোবারক হোসেন। মামলার অপর আসামিরা হলো-ইখতিয়ার আলী স্ত্রী রাখি বেগম(৫০), ছেলে আবদুল আলিম, বড় মেয়ে ইভা (৩০), ছোট মেয়ে ইলা ও ভাতিজা মানিক (৩৫)
এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সরলখাঁ মাষ্টারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সরলখাঁ মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত আকবার আলীর ছেলে বাবলু মিয়া (৫০), ও তার চাচাত ভাই ইউনুস আলী(২৫), আশরাফ আলী(৩৩) ও দুলাল মিয়া(৩৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মাষ্টারপাড়া গ্রামের ইখতিয়ার আলীর বাড়ির সামনের লোকাল সড়ক পাকা করনের কাজ চলছে। সেই রাস্তার সীমানা নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে রাস্তাটির অপর প্রান্তের মৃত আকবর আলীর ছেলে বাবলু মিয়ার। সেই রাস্তার সীমানা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়ের মাঝে বিতর্ক বাঁধে। এর একপর্যায়ে ইকতিয়ারের ছেলে আবদুল আলিমসহ তার পরিবারের কয়েকজন ধারালো অস্ত্র চাপাতি নিয়ে হামলা চালিয়ে বাবলু ও তার তিন চাচাত ভাইকে এলোপাতারি কোপ দেয়।
স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং ঘাতক আবদুল আলিম ও তার বাবা ইখতিয়ারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে স্থানীয়দের কাছে আটক থাকা বাবা ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, আবদুল আলিম মাদ্রাসায় লেখা পড়া অবস্থায় সন্ত্রাসী জীবন যাপন এবং নেশার মধ্যে থাকতো। আলিম সব সময় ধারালো চাকু বা খুর জাতীয় অস্ত্র নিয়ে চলা ফেরা করতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়ের মধ্যে তর্ক চলা কালে মুহুর্তের মধ্যে ধারালো চাপাতি নিয়ে এসে তাদেরকে কোপায়। পওে আমরা স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে তাকে আটক করে থানায় কবর দেই।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মারাত্মক আহত অবস্থায় ওইদিনই দুলালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বাকী তিনজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
গুরুতর আহত দুলালের বাবা মোবারক আলী জানান, আহতদের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি আজ শনিবার দুপুরে বাদি হয়ে ৬জনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুদ রানা জানান, জিজ্ঞসাবাদের জন্য বাবা ও ছেলেকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।