মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮ টার সময় সাহারবাটি বাঙ্গাল পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আবদুল জব্বার শাহ (৬৫),তার স্ত্রী সরলা খাতুন ( ৫৮),আব্দুল জব্বারের ছেলে সোহেল রানা (৩০), আবদুল হামিদের স্ত্রী আছিয়া খাতুন(৫৫), আবদুল হামিদের ছেলে উজ্জ্বল আলী (৩৫), লাল বাবু ওরফে লাল চাঁদ (৩০),লালবাবুর স্ত্রী সোনিয়া খাতুন(২৮),রফিকুলের ছেলে রাসেল আহমেদ (২২)। আহতের মধ্যে আবদুল জব্বার ও উজ্জ্বল এর অবস্থা আশংকাজনক হলে তাদের কুষ্টিয়া ও নাটোরে রেফার্ড করা হয়েছে।
গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাহারবাটি গ্রামের কৃষক জব্বার শাহের বাড়ীর সামনে ৫ শতক খাস জমি নিয়ে আবদুল জব্বারএর ভাই আবদুর রশীদের সাথে প্রতিবেশী মফেজউদ্দীনের ছেলেদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে মফেজউদ্দীনের ছেলে শুকুর আলী,রইছদ্দীন, সেন্টু, বাবলুর সাথে প্রায় একযুগ ধরে দেওয়ানী মামলা চলছে। আজ সকালে শুকুর আলীর নেতৃত্বে রইছদ্দীন, বাবলু, সেন্টু, মজিবর, তইজু,শরিফুল, বাবলু লোকজন নিয়ে গাংনী-কাথুলী সড়কের পার্শ্বের ঐ ৫ শতক জমি দখল করতে গেলে জমির ভোগ দখলকারী আবদুল জব্বার তার শরীকদের নিয়ে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মফেজউদ্দীনের ছেলেরা দেশীয় বাঁশের লাঠি,ফলা, বাটাম ,রড, দা নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষ আবদুল জব্বার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে তাদের রক্তাক্ত জখম করে। আহত উজ্জ্বল জানায়, আমাদের বাড়ী সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বের পতিত জমি। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী খাস জমি হিসাবে ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ আমাদের বাড়ীর রাস্তা বন্ধ করতে জমির ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে লাঠি সোটা হাতে দলবল নিয়ে জমি দখল করতে আসে। এনিয়ে হামলাকারী দলের শুকুর আলী জানান, ওই জমি আমাদের নিজস্ব। আমরা সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছি। এমনটি একযুগ ধরে মামলা করে আমরা রায় পেয়ে জমি দখলে গিয়েছি। আমাদের জমি নিয়ে যদি জেল খাটতে হয় তবুও জমি ছেড়ে দিব না। গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।