মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শনিবার ৮ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী সেতু মন্ডল (১৫) এর হত্যার প্রতিবাদে পৃথক স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১ টায় দোহার নবাবগঞ্জ সড়কে গোয়ালখালী মোড়ে কবি নজরুল উচ্চবিদ্যালয় ও পরে দুপুর দেড় টায় খারশুর উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে খারশুর উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে দুই স্কুলের প্রায় ১৪ শতাধীক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সেতু মন্ডলের হত্যাকারী এবং হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দ্বাবী জানান।
নিহত সেতু মন্ডল উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামের প্রবাসী গোপাল মন্ডলের মেয়ে ও ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার কবি নজরুল উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
উল্লেখ্য
গত ৯ই এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। দুই দিন পর ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ি তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সেতুর পরিবারকে খবর দিলে, পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাকে নিয়ে আসে। বাড়িতে ফেরার ৫ দিন পর বুধবার সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় সোহেল নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কবিরুল ইসলাম জানান, ১১ এপ্রিল গোলামবাজার এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। এতে পুলিশ যুবক ও স্কুল ছাত্রীকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোহেল নামের যুবককে ছেড়েদিয়ে স্কুল ছাত্রীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সেতু মন্ডলের মা বাদী হয়ে সোহেলকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাত আরো ২জনকে আসামি করে অপহরন,ধর্ষনসহ ৪টি ধারা দিয়ে মামলা দায়ের করেন। এদিকে সেতু মন্ডলের আত্মহননের খবরে গ্রামটিতে শোকের ছায় নেমে আসে। তার শিক্ষালয়েও শোক এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদউদ্দিন মামলার বাদী রেখা মন্ডলের বরাত দিয়ে জানান, সেতু মন্ডল উদ্ধারের সময় অনেকটা অচেতন ছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তার মাকে জানিয়েছে- সোহেল নামের এক যুবক তাকে সেখানে নিয়ে যায়। পর দিন একটি স্থানে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পুলিশের ধারনা মেয়েটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিল এবং কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়।