নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সরকার বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় সময় উপজেলা হাজি কল্যাণ সমিতির সাধান সম্পাদক অধ্যাপক করিমুল ইসলাম প্রতিবাদ করায় তাকে লাঞ্চিত করে কিছু মুসল্লি। এতে পুলিশ মাহফিলের বিশেষ বক্তা ডোমার ইসলামিয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্র্যাসার অধ্যক্ষ শামছুদ্দিন হোসাইনী ও তার দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম চিকনমাটি মোল্লাপাড়া আমিনিয়া বায়তুল ফালাহ মসজিদ মাহফিল মাঠ হতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদুই ভাই হলেন, মাও: আব্দুল হামিদ হোসাইনী ও আনারুল ইসলাম। এ ব্যপারে থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো ৪০ হতে ৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকাল ১১ টা হতে উক্ত স্থানে এক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল চলছিল। মাহফিলের প্রধান মুফাচ্ছির জাতীয় মুফাচ্ছির পরিষদ খুলনা বিভাগীয় সভাপতি হযরত মাও: অধ্যাপক তৈয়বুর রহমান সরকার বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার সময় উপজেলা হাজি কল্যাণ সমিতির সাধান সম্পাদক অধ্যাপক করিমুল ইসলাম প্রতিবাদ করায় প্রধান মুফাচ্ছির ক্ষিপ্ত হয়ে মাহফিল হতে চলে যায়। এতে মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লিরা প্রতিবাদকারীকে লাঞ্চিত ও ভাংচুর করে। এতে পুলিশ আয়োজক তিন ভাইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আয়োজক তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ জনের নামে ও ৪০ হতে ৫০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।