কুড়িগ্রামের তাবলীগ জামাতের শূরা সদস্যের সিদ্ধান্তমতে জেলার রাজিবপুর উপজেলায় বসছে ৩ দিন ব্যাপী ইসতেমা। সেই সিদ্ধান্তমতে রাজিবপুর উপজেলা সোনাভরি নদীর তীরে মদনের চর এলাকায় ইসতেমার মাঠ নির্ধারন করা হয়েছে। এর আগে ৫ এপ্রিল শুক্রবার জামালপুর ,শেরপুর ও কুড়িগ্রামের শুরা সদস্যদের নিয়ে মাশোয়ারা করা হয়। এতে দেওয়ানগঞ্জ,উলিপুর ও রাজিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মাননীয় প্রাথমিক ও গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি,ও উপস্থিত হয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে আগামি ২৫,২৬ও ২৭ এপ্রিল ওই মাঠে ইসতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৩ জেলার লক্ষাধিক ধর্মপ্রান মুসল্লী ও তাবলীগ জামাতের ভক্ত ও সাথীরা উপস্থিত হয়ে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করবেন। গত ১৫ দিন থেকে রাজিবপুর উপজেলার সকল স্তরের মানুষ উপস্থিত হয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ইসতেমার মাঠ সজ্জিত করার জন্য। অনেক দানবীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করছেন। সুপেয় পানি,লাইটিং,বাথরুম,নিরাপত্তা,যোগাযোগও চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,মাঠের বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়ে ইসতেমার মাঠের প্যান্ডেল। তবে ঝড়-তুফানের আশংকায় ছামিয়ানা টাননো হয়নি। আগামি বুধবার ছামিয়ানা টানানো হবে।
এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো; মেহেদী হাসান জানান,এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছি। ৫টি খিত্তায় ভাগ করে ৩ জেলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামি ২ দিনের মধ্যে মাঠের কাজ সুসম্পন্ন হবে। রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন জানান, রাজিবপুর উপজেলার মত একটি ছোট উপজেলায় ইসতেমার আয়োজন করায় ইসতেমার শুরা ও সাথী ভাইদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সেই সাথে সকল স্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের ইসতেমায় আসার জন্য আহবান করেছেন। রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল বলেন,৩ জেলার ধর্মপ্রান মুসল্লী ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা উপস্থিত তাকবেন বলে আশা করছেন।