বাপ-দাদার দাহ ও দাফন কাজ যুগ যুগ ধরে সম্পন্ন হয়ে আসা নিজেদের পুকুর পাড়ে প্রভাবশালী ভূমি দস্যুদের বাঁধায় এখন আর দাহ ও দাফন কাজ শান্তিতে করতে না পেরে ফুসে উঠেছে ৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবাদী মানুষগুলো নিজেদের দাহ ও দাফন কাজ সম্পন্নের জন্য এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য্য পুকুরের পানি পূণরায় ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্সেপ কামনা করেছে।
সোমবার সকালে বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউপি’র উত্তর মাধবপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় ঐ এলাকার ৫ টি মৌজার হাজার হাজার হিন্দু-মুসলিম নারী-পুরুষ। দইদিঘী ও সইদিঘীর শ্মশান এবং সমাধিস্থানসহ প্রায় ১৪ একর ৯৬ শতক সম্পত্তি ভূমি দস্যুদের কবল থেকে দখল মুক্ত করার জন্য মানব বন্ধন করে ঐ এলাকার ৫টি গ্রামের সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ।
এসময় তারা ঐ এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু লাঠিয়াল বাহিনী’র সদস্য সহিদুল ইসলাম টুকু, মোতাহারুল ইসলাম বুলু, কামিল উদ্দিন, হবিবর রহমান, বশীর উদ্দিন ও আনারুল ইসলাম এর তড়িৎ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও বিচার দাবিতে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় এমপি ও মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, উত্তরমাধবপুর- নছুগ্রাম- হরিশচন্দ্রপুর- তরঞ্জা- মোহনপুর গ্রামের ৫ টি মৌজার প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। দ্বীর্ঘদিন যাবৎ বাপ-দাদার আমল থেকে দইদিঘী ও সইদিঘীর পাড় এলাকায় একদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ও অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের কবর স্থান/সমাধি ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই শ্মশান ও কবর স্থানে বাপ-দাদাদের দাহ ও দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর পূর্বে ঐ সকল সন্ত্রাসীরা বানোয়াট, ভূয়া ও জাল জালিয়াতী ভাবে কাগজ আছে জানিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের অসহায় লোকজনদেরকে দাহ ও দাফন কাজে বাঁধা দিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেরাজুল ইসলাম জানান, এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের সচেতন লোকজন ওই সম্পত্তির সঠিক কাগজ পত্রাদী সংগ্রহ করে দেখেন তাদের বৈধ কোন কাগজপত্র নাই। তারা আসলে জোরপূর্বক ও সন্ত্রাসী কায়দায় ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলেন। দ্বীর্ঘ দিন পর হলেও তাদের মুখোষ উন্মোচন হওয়ায় এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন ফুসে উঠেছে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তারা মরিয়া।
এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলে উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজ পত্রাদী দেখে জানতে পারি তারা বিনারেজিষ্ট্রী দলিলমূলে অবৈধভাবে দখলভোগে বাঁধা প্রদান করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে ঐ সম্পত্তি অত্র এলাকার হিন্দু ও মুসুলমানদের শ্বসান ও কবর স্থান এবং পুকুরের পানি সর্বসাধারণের ব্যবহার্য্য বলে সিএস ও এস এ রেকর্ডে উল্লেখ রয়েছে।