জামালপুরের বকসিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ বরকে গ্রেফতার করায় নববধুসহ বাকীরা সব পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে।পুলিশ সুত্রে যানাযায় বিয়ে করে নতুন বউসহ বরযাত্রীদের সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো এক নতুন দমপত্তি। উপজেলার সারমারা টালিপাড়া এলাকা পৌছিলে বরের বিরোদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে প্রেফতার করে।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দফরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বখাটে ছেলে মনোয়ার হোসেন (২৪) সে গত ১৪ এপ্রিল বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে এলাকা একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক শুরু হয়। কিন্তু কোন ক্রমেই সমাধানে না পৌছাতেই ছেলের বাবা বিভন্ন টালবাহনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেলের অন্যত্র বিয়ের পায়তারা শুরু করে। অবশেষে বকসিগঞ্জ উপজেলার সারমারার টালিয়াপাড়া গ্রামে এক নাবালিকা মেয়ের সাথে ধর্ষক ছেলের বিবাহ ঠিক করেন। গত ২০ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে টালিয়াপাড়া এলাকায় ধর্ষক ছেলের বিয়ে করাতে যায়। এ খবর পেয়ে ওইদিন ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় ধর্ষক মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে পথিমধ্যে বরযাত্রী বহর থেকে ধর্ষক মনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করলে নতুন বউসহ অন্যান্য বর যাত্রীরা দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সে সময় এলাকার লোকজনের মধ্যে গুনঞ্জন শুনা যায়, বে-রশিক পুলিশ।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম. মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক মনোয়ার হোসেনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ধর্ষনের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।