আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে শতাধিক মৎস্যঘের ও ঘরবাড়ি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে গ্রাম পাঁচটির বহু মানুষ ও পশুপাখি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের পরিমল মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলা গ্রাম এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজখারী, করিমাখালী ও মাড়িয়ালা গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। পানির তোড়ে এলাকার শতাধিক মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দী বেশকিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি। বহু মানুষ ও পশুপাখি পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পরিমল মন্ডলসহ আরও কয়েকজন জানান, ভোরে তার বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কিছুটা ধ্বসে নদীগর্ভে চলে যায়। এ সময় প্রবল বেগে পানি ঢুকে মৎস্য ঘের অধ্যুষিত কোলা ও হিজলা গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। পরেই ভাঁটা শুরু হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও দুপুরের জোয়ারে পুনরায় পানি ঢুকলে প্রতাপনগর ইউনিয়নের আরও কয়েকটি গ্রামসহ পাশর্^বর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, মাড়িয়ালা ও কলিমাখালী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সকালে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হলেও জোয়ার শুরু হওয়ায় কাজ ব্যর্থ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। খোলপেটুয়া নদীর বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কাজ হয় না। কাজ হওয়া তো দূরের কথা, বাঁধ না ভাঙলে তারা এলাকায় আসেন না। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও (০১৩১৮২৩৫৬৯২) তিনি ফোন ধরেননি।