‘ভোটার তালিকায় নাম ওঠার চেয়ে এখন বেশি জরুরি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। এ পরিচয়পত্র সব দাফতরিক কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, আগামীতে সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইভিএম-এ হবে। আর এনআইডির মাধ্যমেই ভোট গ্রহণকরা হবে। তবে এনআইডি ছাড়া ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট দিতে আঙ্গুলের ছাপ লাগবে।’ রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০১৯ উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, ‘পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের তথ্যভা-ার উন্নত। যেমন ইভিএম এখন উন্নত প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। পৃথিবীর কোনো দেশের নির্বাচন কমিশনই জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় না, কিন্তু বাংলাদেশে এটা করা হয়। কারণ, ভোট দেওয়ার চেয়েও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম বা চাকরি পেতেও এটি দরকার। আর বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রে যেসব তথ্য থাকে তা কারো সঙ্গে কারোর মিল নেই। প্রত্যেকের চোঁখের আইরিশ ও আঙ্গুলের ছাপ আলাদা। বিভিন্ন অভিযানে যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়েই নির্বাচন কমিশন থেকে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।’ এজন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে নির্ভুলভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন ইসি সচিব।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনগুলোয় ভোট কম পড়া প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে কে সরকার গঠন করলো আর কে বাদ গেল এ নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায় না।’
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম আবদুল কাদের, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এর আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনকালে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানের মৃত্যুর ঘটনায় অনুষ্ঠানে নিহতের পরিবারের হাতে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।