নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাঞ্চল্যকর চটপটি বিক্রেতা হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন নিহতের বড় মেয়ে ইন্তেজা আকতার। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রতিবেশী ওসমান গণির সাথে দীর্ঘদিন থেকে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয় নিয়ে ৮ বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। এরই জের ধরে গত ১০ এপ্রিল রাতে ওসমান গণির ঘনিষ্ট একই এলাকার আবদুল মালেক, বাবু ও রমজান আলী ইমদাদুল হকের বাড়িতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য ইমদাদুল ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে বাড়ির পাশে ওয়াপদা মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে তারা দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর ইমদাদুল পরে যাবে বলে তাসলিমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আবদুল মালেক। রাত সাড়ে ১০টায় তারা আবারও ইমদাদুল হককে খুঁজতে তার বাড়িতে আসেন। এতে স্ত্রী তাসলিমার সন্দেহ হলে স্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেন। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও সেই রাতে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ভোরে বাড়ির পিছনে একটি গাছের সাথে ঝুলানো অবস্থায় ইমদাদুল হকের মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। গত ১১ এপ্রিল এ ঘটনায় নিহত ইমদাদুল হকের বড় মেয়ে ইন্তেজা বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রায় ২ সপ্তাহ হলেও পুলিশ ওই এজাহার এখনও এন্ট্রি করেনি বলে দাবী করেন নিহতের পরিবার। তারা আরও অভিযোগ করেন এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ এই হত্যাকান্ডের তদন্তে কোন ভূমিকা রাখছে না। এমনকি পুলিশও এটাকে আত্মহত্যা বলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তারা আরও জানান, ইমদাদুলের পা মাটিতে ভাঁজ করা ছিল। এ ছাড়া মরদেহে আত্মহত্যার কোন আলামত ছিল না। নিরীহ চটপটি বিক্রেতা ইমদাদুল হকের হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তার অসহায় পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় এ হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিয়ে নিহতের পরিবার জেলা পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) ও ওসি সৈয়দপুর থানার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে নিহতের পরিবার কোন প্রকার সহযোগিতা পাননি বলে দাবি করেন।