ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক তাজমুন আহম্মেদসহ ১৫ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে গুলি করে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সানিল (২৬), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবু কাওসার (৩৯)সহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩০ নেতাকর্মীর নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। গত সোমবার রাতে আহত যুবলীগ নেতা তাজমুন আহম্মেদের ভাই নাজমুল হাছান বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা পোড়ানো এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অপরাধে দন্ডবিধি ও ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় সানিল, কাওসার ছাড়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব আহমেদ সিয়াম (২০), সাবেক মেয়র মঞ্জুর মিয়ার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সাদ্দাম (৩০), সালটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ রাজু (২০), লাল চান (২৫), এমদাদুল হক মিলন (২৫), আরাফাত (২৪), নাইম (২২), রায়হান (২২), নোহাস মিয়া (২০), অনন্ত (২৪), ফাহিম (২৩), সাব্বীর (২৪), রায়হান (২৩), সিজার (২০), মবিন আকন্দ (২৪), আনন্দ (২২), রিয়াদ (২১), তোফায়েল (২৩), জহিরুল (২৮), শাকিল (২৫), জহিরুল (২৪). রাজন (২৩), শহীদ (২৫), এমদাদ (৩৪), মাজাহার মেম্বার (৩৪), মামুন (২৮), আলামিন (২৪), মাজহারুল (২৩) আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। একই সাথে মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
গত রোববার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে পৌর শহরের চাদনী মোড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুমহালের ইজারা আদায়কে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবু কাওসার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান সানিল গ্রুপের সাথে পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক তাজমুন আহম্মেদ গ্রুপের তর্ক-বিতর্ক এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পৌর শহরের জামতলা মোড়ে পৌরসভা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে কাওসার-সানিল গ্রুপের নেতাকমীৃদের হাতে তাজমুন (৩২), হৃদয় (২৫), বিপুল (২৭). মোস্তাকিম (২০), তারা (২৫), সোহেল (২৩)সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগের ১৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ,রামদার কোপে, পিটুনীতে আহত হয়। এ সময় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল হাছানের মোটর সাইকেল ও ষ্টীলের তৈরি নৌকা প্রতীক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। পৌরসভা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ও ভাংচুর করা হয়।