জামালপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীকে গাছের সাথে বেঁধে এবং অপর নারী শিক্ষককে শাররীক ভাবে লাঞ্ছিত করে তাদের জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
জামালপুর সদরের কেন্দুয়া কালিবাড়ির খামারপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুমন দেবনাথ অভিযোগ করেন, স্থানীয় মোকছেদ আলীর পুত্র সুলতান মাহমুদ ফকিরের সাথে তাদের ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৮ এপ্রিল বুধবার বিরোধপূর্ণ জমিসহ পাশের আরো ১৬ শতাংশ জমিসহ জবর দখল করে নেয় সুলতান মাহমুদ ফকির গং। এ ঘটনার প্রতিবাদ করার সুমন দেবনাথের মা ৫৮ বছর বয়সী প্রতিভা দেবনাথকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। সে সময় প্রতিভা দেবনাথের নাতী স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণা দেবনাথকেও শাররীক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন। নির্যাতনের ঘটনায় সদর উপজেলার নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি এবং পরদিন সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ফকিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্যাতিত পরিবার। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার পুলিশ মামলার আসামি নজরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। গত ২১ এপ্রিল রোববার মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পায়।
এ বিষয়ে সুলতান মাহমুদ ফকিরের কাছে নারী নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজের ক্রয় করা জমি তিনি দখলে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলে আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।
এ ঘটনায় শহরের দয়াময়ী চত্তরে সংখ্যালঘু নারীদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার সোম রানু, সাধারন সম্পাদক সিদ্ধান্ত শংকর রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু, অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র প্রমুখ।