বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় তানোর উপজেলার ডাক বাংলো মাঠে ও বিকেল ৫ টায় গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী সরকারি মাঠ সংলগ্ন মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে গোদাগাড়ীতে পিতা মাতার কবরের পাশে শায়িত করা সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক কে।
জানাজায় রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ সদ্যস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ¦ ওমর ফারুক চৌধুরী। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ,রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধরন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার,চাপাইনবাবগেঞ্জর সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসহাক আলী, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম শাওয়াল,গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জানাজার আগে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বড় ভাই ও পুলিশের সাবেক আইজিপি ড. এম এনামুল হক ও তার ছেলে।
এদিকে জানাজার মাঠে স্থানীয় সংসদ সদ্যস ও সাবেক মন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও মাইকে কথা বলার সময় তার নামটি ঘোষণা না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জানাযায় উপস্থিত মুসল্লিদের অনেকেই মুখেই বলতে দেখা যায়, রাজনৈতিক আদর্শ যাই থাকুক না কেন একমাত্র ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের জানাযায় উপস্থিত থাকার জন্যই এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী উপস্থিত হয়েছেন। তবে যারা জানাযার মাঠ পরিচালনার দায়িত্বে ও বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন তারা জেনে শুনেই ওমর ফারুক চৌধুরীর উপস্থিতির কথা বলেন নি। একজন মৃত্যু নিয়ে জানাযার মাঠে রাজনীতি শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেন।
জানাজার নামজ শেষে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী যখন লাশ দেখার উদ্দেশ্যে আসছিলেন তখন দ্রুত লাশ নিয়ে যাজার জন্য তাড়াহুড়ো করে নিয়ে চলে যায়।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোটে থাকা অবস্থায় ব্যারিষ্টার আমিনুল হক মৃত্যু বরণ করে। রাজশাহী-১ আসস থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি সরকারের সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ও ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।