বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি পশ্চিমপাড়া ঝাঁঝর ঘাট এলাকার বাঙ্গালী নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছেই। এতে নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি, রাস্তা-ঘাট ও বসতবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, রাঙ্গামাটি গ্রামের কুমারখালী এলাকার মৃত আজিজার রহমান মন্ডলের ছেলে সাহেদ আলী মন্ডল ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রিপন আহম্মেদ সহ কয়েক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এলাঙ্গী ইউনিয়নের ঝাঁঝর ঘাট এলাকার বাঙ্গালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। নদীর গভীর তলদেশ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে। সেখান থেকে প্রতি ট্রাক বালু ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৭০/৮০ ট্রাক বালু বিক্রি হয়ে থাকে। নদীতে বোরিং করে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি ও বসতবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া নদী ঘাটের বালু পরিবহনের ট্রাক ও ট্রলি চলাচলের কারণে আশেপাশের সড়কগুলোও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রাঙ্গামাটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবু বক্কর জানান, নদীতে অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রাক ও ট্রলি দ্রুতি গতিতে চলাচল করায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। তবে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে চলাচলের একমাত্র সড়ক, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিকার ও আইনি ব্যবস্থা চান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, রাঙ্গামাটির ঝাঁঝড় ঘাট এলাকার বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।