নওগাঁর রাণীনগরে বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী যুবতিকে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে ধর্ষণ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি আসামী। ফলে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পরেছেন পরিবারটি।
স্থানীয় ও থানাপুলিশ সুত্রে জানাগেছে, রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা (৬০) গত ১০ এপ্রিল বুধবার সকাল অনুমান সাড়ে ৯টায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনৈক ব্যাক্তির বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে (২২) কে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে কৌশলে ওই বৃদ্ধের বাড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ছেরে দিলে যুবতি বাড়ীতে এসে কিছুটা ইশারা ইঙ্গিতে তাকে ধর্ষণের কথা বলে। বিষয়টি ধীরে ধীরে জানাজানি হলে ঘটনাটি নিষ্পত্তি করতে ১১ এপ্রিল রাতে আতাইকুলা গ্রামে বৈঠকের মাধ্যমে নিরশনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সামাধানকারীরা আসামীকে কৌশলে পালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে গত ১২ এপ্রিল সকালে গোবিন্দকে আসামি করে রাণীনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার দিনই দুপুরে যুবতিকে মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করা হয়। এরপর ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও থানাপুলিশ এখনো আসামি গোবিন্দ ওরফে সুটকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে পরিবারের লোকজন শঙ্কায় পরেছেন।
এব্যাপারে প্রতিবন্ধীর মা বলেন,ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল অথচ একমাত্র আসামি গোবিন্দকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আজ-কাল টাকার কাছে যদিও সব কিছু বক্রি হয়ে যায়, তার পরেও পুলিশের লোকজন আমাদেরকে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত্য করেছেন। আসা করছি ন্যায় বিচার পাবো। তার পরেও দীর্ঘ ১৫ দিনেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। আসামি দেশের যে প্রান্তেই থাকনা কেন সন্ধান পাওয়া মাত্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে। এ ছাড়া সুষ্ঠু বিচারে যতটুকু আইনি সহায়তা প্রয়োজন তা করা হবে।