তানোরে চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার প্রথম দিনে কর্মমুখর ও প্রান চাঞ্চল্য ছিলো উপজেলা পরিষদ। (আজ) বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং শেষে সোজা তিনি দুপুরে ছুটে আসেন তানোর উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে। তিনি এসেই অফিসিয়াল কাজকর্ম করেন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৬টার পর তিনি ছুটে যান কামারগাঁ এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে। এর আগে তিনি আসার আগে উপজেলা পরিষদ ছিলো একদমই ফাকা, কিন্তিু তিনি আসার পরপরই তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরের দপ্তরগুলো মুহুর্তের মধ্যে পাল্টে গিয়ে হয়ে উঠে কর্মময় ও প্রান চাঞ্চল্য। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনে দাগিতে কাজে আসা জনসাধারন বলা বলি করছেন ‘পুরো অফিসসহ পরিষদ চত্বর ফাকা ফাকা ছিলো চেয়ারম্যান আসার সাথে সাথেই অফিসের কর্মকর্তারা কাজকর্মে মনোজগী হয়ে উঠলেন অন্যদিকে পরিষদ চত্বরে প্রাণ চাঞ্চল্য হয়ে উঠলো’। জনসাধারন এটাও বলাবলি করছিলেন যে, এখন থেকে হয়তো অফিস গুলোতে কাজে এসে বিনা কারণে আর ঘুরতে হবেনা। সরেজমিন বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে কয়েকটি অফিস খোলা আছে, কোন কোন কর্মকর্তা চলে গেলেও কর্মচারীরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিন্তু সকল দপ্তরই খোলা ছিলো। সন্ধ্যা ৬টার পর্যন্ত কয়েকটি অফিসের কর্মকর্তারা চলে গেলেও ৬টা পর্যন্ত কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে চেয়ারম্যানের যাওয়ার অপেক্ষা করছেন। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, কাজের জন্য সময় কোন ব্যাপার না, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবো। তানোর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই এজন্য কাজের মধ্যেই ঢুবে থাকতে হবে, উপজেলাকে সাজানোর জন্য পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করতে হবে, এর জন্য অনেক কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জনগন ভোট দিয়ে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর সহযোগীতা নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করাসহ জনগনের সেবক হয়ে পার্শে থেকে সেবা করার চেষ্টা করবো ইরশাল্লাহ।