ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র ও বিএনপি নেতা ইসমাইল হত্যাকান্ড ঘটনায় প্রতিপক্ষের ঘর পোড়ানো মামলার ১২ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার ঝিনাইদহ আদালতে ওই মামলার জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জামিন না মজœুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দ্দেশ দেন। ২০১৪ সালের ১৩ মে কালীগঞ্জ শহরের চাপালী গ্রামে সকাল ৮ টার দিকে তার গ্রামের কতিপর দূর্বৃত্তদের হাতে ইসমাইল হোসেন খুন হয়। এবং ওইদিন বিকালেই ঘটনার জের ধরে বিক্ষুব্দ গ্রামবাসী চিহ্নিতদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এত ব্যাপক ক্ষতি হয় ও ঘরের সমস্থ মালঅমাল পুড়ে ছায় হয়। কয়েকদিন পর হত্যা মামলার ২ নং আসামি আজিজারের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন বাদি হয়ে ঘর পুড়ানোর মামলাটি দায়ের করে। কিন্তু ঘর পুড়ানোর ঘটনায় কেউ এত দিনে ও জামিন না নিয়ে আদালত অবমাননা করে।
এ মামলায় বুধবার জামিন নিতে গেলে নিহত প্যানেল মেয়র ইসমাইল হোসেনের পুত্র ইমরান, তার ভাইপো সুজন ও চাপালী গ্রামের আবদুর রহিম, পারভেজ, মতিয়ার, আবু বক্কার, মুক্তার, জসিম, ইমন, সোহেল, বুড়ো জাহিদ ও রবিউল কে আদালত জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।
ঘর পোড়ানো মামলার জেলহাজতে প্রেরন আসামীদের স্বজনদের সুত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র চাপালী গ্রামের ইসমাইল হোসেন ২০১৪ সালে নিজ গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়। সে সময়ে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী বাদি হয়ে থানাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু ওই মামলার অভিযুক্ত আসামীদের এখনও কোন সাজা হয়নি। উল্টো তাদেরই ঘর পোড়ানো মামলায় নিহত ইসমাইলের পুত্র ও ভাইপো সহ ১২ জনকে জেল হাজতে যেতে হল।