কুমিল্লার হোমনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ছেলের বউ এবং তার শিশু কন্যার গলায় ছুড়ি ধরে তাদের জিম্মি করে ডাকাতরা ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক, সাব ইন্সপেক্টর শাফায়াৎ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম গণি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুত্রবধূ সোহাগী জানায়, রাত আনুমানিক পৌণে তিনটার দিকে ৫/৬ জন মুখোশধারী লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একটি ছোট কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে তাদের ঘরের ভেতরে ঢুকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ও তার শিশু কন্যার গলায় বড় ছুড়ি ধরে তাদের জিম্মি করে ফেলে। বাসার আলমারি, ওয়্যারড্রব ভাংচুর ও তছনছ করে সোহাগীও তার ননদদের রক্ষিত প্রায় বিশ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ টাকাপয়সা নিয়ে যায়। এ সময় তার শ^শুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধান অসুস্থ থাকায় শাশুরীসহ সোমবার সকাল থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাসায় পাশের এক কক্ষে তার এক ননদ তার শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন, অপর কক্ষে বয়োবৃদ্ধ দাদিশাশুরী ছিলেন। ননদের কক্ষটিও বাহির থেকে শেকল দিয়ে আটকে দিয়েছিল তারা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধান জানান, তিনি গতকাল (সোমবার) থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার ঘরে থাকা ছেলের বউ ও মেয়েদের প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগর পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা যেনতেন বিষয় নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা জাতির জন্য চরম লজ্জা ও ন্যাক্কারজনক। মু্িক্তযোদ্ধা ও সহযোদ্ধা হিসেবে আমরা আইনগত ও যথাযাথ পদক্ষেপের মাধ্যমে অচিরেই ডাকাতদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মু্িক্তযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধানের বাড়িতে ডাকাতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।