জেলার দুর্গাপুরে বিয়ের প্রলোভনে ফুঁসলিয়ে একাদিকবার ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী (১৮)সে বর্তমানে ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়াগেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ভিকটিমের পরিবার।
অভিভাবক,স্থানীয় এবং মামলাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাওঁকান্দিয়া ইউনিয়নের কানাইল গ্রামের মৃত- ইউসুফ আলীর পুত্র কানাইল সরকারী প্রাথমি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা মর্জিনা খাতুনের স্বামী দুই সন্তানের জনক মোঃ মোস্তফা(৩২)ঐ কিশোরীকে ৩০ অক্টোবর প্রথম এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের পরিবার একই গ্রামের অতি দরিদ্র হওয়ার সুবাধে মোস্তফার বাড়ীতে ঝি-এর কাজ করতো কিশোরীটি। সেই সুবাধে বিয়ে করবে বলে নানান প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোস্তফা এতে ঐ কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েপরে।ধর্ষণ এবং অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নানা উপায়ে মিমাংসার চেষ্টা করে কথিপয় ব্যক্তিরা। কিশোরীর গর্ভে আসা নবজাতকটি মেরে ফেলার জন্যে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে ধর্ষকের পরিবার ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।এটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঐ চক্রটি। কোন ধরণের সুরাহা না পেয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুর্গাপুর থানায় ২২এপ্রিল সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্তেও পর এফআইআর করেণ পুলিশ। ভিকটিমের বাবা সবুজ মিয়া প্রতিনিধিকে বলেন আমি নদীথেকে মাছ ধরে বিক্রিকরে সংসার চালাই। আমার মেয়ের এরকম সর্বনাশ করলো ঐ মোস্তফা। তাকে গ্রেফতার পূর্বক আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী দিচ্ছে ওর হাত নাকী অনেক লম্বা। আমার বিরুদ্ধে মামলা করে যা করতে পারিস কর গিয়ে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব বলেন,ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা রয়েছে আমি ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজনদের থানায় পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। আপনারা যা পারেন লিখেন গিয়ে। দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইন-চার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এটি মামলা আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যার নং-২৩ তারিখ-২৩/৪/১৯ ইং। আসামি পলাতক রয়েছে,তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।