তাপদাহে সবাই ক্লান্ত। অত্যধিক গরমে শরীর ঘেমে বেরিয়ে আসে খনিজ লবণ। শরীর হয়ে যায় পানি শূন্য। তখন পিপাসায় ফেটে যেতে চায় বুক। কিন্তু পানি পানে আমাদের শুধু পিপাসা মিটে না। শরীর থেকে লবণ বেরিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়, তা পূরণ হয় না। তারপর ও যেন মন চায়, হাতের কাছে যদি এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেতাম! এই সমস্যা দূর করতে খাদ্য তালিকায় থাকে নানা ধরনের ফলের শরবত, কোমল পানীয়, ডাবের পানি এবং আরো কত কি! স্বাস্থ্যের কথায় পিপাসা আর শরীরকে সতেজ রাখতে ডাবের পানির কোনো তুলনা নেই। যে কারণে চাহিদা বাড়ায় ডাবের বাড়ছে কদর। কারণ ডাবের পানি শুধু পানীয় হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়, এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যা অনেক জটিল রোগ নিরামক হিসেবেও কাজ করে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপে আমতলী-তালতলীসহ উপকূলের শহরগুলিতে কচি ডাবের কদর খুব বেড়েছে। একমাস আগে একটা কচি ডাব অবস্থা ভেদে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা ৩৫-৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আমতলী তালতলী কলাপাড়া বরগুনা রোডের বিভিন্ন মোড়ে বসে ডাব বিক্রেতা জয়নাল, আমির হোসেন অনেকে জানান, এখন ডাবও খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। আগে গড়ে ১০০ ডাব ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে কেনা যেত। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১০০ থেকে ১৫০ ডাব বিক্রি হয়।