দিনাজপুরের বাসচালক জালাল হোসেনকে চট্টগ্রামে হত্যার বিচার দাবিতে দিনাজপুরসহ চার জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা সদর থেকে ছেড়ে যায়নি আভ্যন্তরিন ও দুরপাল্লার কোন বাস। সেই সঙ্গে ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়েছে।
আকষ্মিকভাবে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারন যাত্রীরা। অনেকে পায়ে হেটে গন্তব্য যাত্রা করছেন।
দিনাজপুর সদরের রামনগর এলাকার মহসীন উদ্দিন বলেন, রংপুরে যেতে হবে জরুরি কাজে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি কোন বাসই ছাড়েনি।
আরেক যাত্রী আফসার আলী বলেন, আমতলী এলাকায় চাকরি করি। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছি কর্মস্থলে যাবো বলে। কিন্তু নিমনগর বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস নেই। শেষে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইকে করে যেতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় দুই লাগছে। আবার আসার সময় কি হবে চিন্তিত আছি।
দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় বাসচালক জালাল হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে। দিনাজপুরসহ ঠাকুরগাও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলায় এই ধর্মঘট শুরু হয়। এটা আরও সম্প্রসারিত হবে বিভিন্ন জেলায়।
বাসচালক জালাল হোসেন দিনাজপুর সদরের হেলেঞ্চাকুড়ি এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। শ্যামলী পরিবহনের চালক ছিলেন তিনি।ওই দিন রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানার শিকলবাহা এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চালক জালাল হোসেনকে নামিয়ে নেয়। পরে তাকে মারধর ও নির্যাতন করে, এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাস চালকের মৃত্যুর ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।