রংপুর ডিসি অফিসের জিএম শাখা থেকে জেলা প্রশাসকের সই জাল, ভূয়া পুলিশ ভেরিফিকেশন দিয়ে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে চারশ অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের নজিরবিহীন ঘটনায় চার্জশিটভূক্ত ৬০ ভূয়া অস্ত্রের লাইসেন্সগ্রহনকারীর জামিন প্রার্থনা না মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার রংপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন তারা।
রংপুর জজ আদালাতের পিপি আবদুল মালেক জানান, স্বস্ব আইনজীবীর মাধ্যমে দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই অস্ত্র মামলায় রংপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন দেশের বিভিন্ন এলাকার ৬০ ব্যক্তি। যারা অর্থের বিনিময়ে ওই ভূয়া অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছিলেন। বিকেল চারটায় আদালতের বিচারক রাশেদা সুলতানা শুনানী শেষে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তিকালনি জামিনে ছিলেন। জামিন না মঞ্জুর হওয়াদের সবাই সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সামরিক আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন পদের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
উল্লেখ্য ২০০৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সামসুল ও তার সিন্ডিকেট রংপুর ডিসিদের সই জাল করে ব্যাকডেটে ৪০০ বেশী আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেন। এর মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ায় গত ১৮ মে তার অফিসে অভিযান চালিয়ে সামসুলের আলমিরা থেকে ১৫টি ভূয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স, ১৫ টি ভূয়া লাইসেন্সের ভলিউম, ৭ লাখ নগদ টাকা, ১১ লাখ টাকার এফডিআর ও ২ লাখ টাকার সঞ্চয় পুত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিসি অফিস ও দুদক দুটি মামলা করে। এ ঘটনায় ২৮১ জনের নামে চার্জশিট দেয়া হয় আদালতে।