বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ-এর লক্ষ্যে যখন পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা এবং ন্যায্য বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রত্যাশায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার অপেক্ষার প্রহর গুণছে ঠিক সেই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% সহ মোট ১০% কর্তনের প্রজ্ঞাপন পুনরায় জারি করেন। ওই আদেশের ফলে সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীগণ অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষক সংগঠন আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সারাদেশের ন্যায় রংপুরেও মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে রংপুর জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান প্রমাণিককের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা মাসুম হাসান, মহানগর সভাপতি আয়শা সিদ্দিকা, সাধারন সম্পাদক শাহ মোঃ লুৎফর রহমান, রংপুর সদর উপজেলা সভাপতি মৃতুঞ্জয় রায়, সাধারন সম্পাদক মো. আখিনুর রহমান, জেলা সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মো: নুরুজ্জামান বকুল, মো. আমজাদ হোসেন, অঞ্চলের সাধারন সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন, জেলা কোষাধ্যক্ষ মো. জাকারিয়া সরকার, প্রচার সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান, মহানগর সহ-সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সভায় বক্তাগণ ১০% কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং পর্ণাঙ্গ বাড়িভাতা ও উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। বক্তব্য শেষে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছির বের হয়ে ডিসি অফিস চত্বরে শেষ হয়। পরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এ- কলেজ অডিটরিয়ামে রংপুর বিভাগের ২০১৯ সালের মার্চ মাসের ‘মাসিক আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অত্র রেঞ্জের মার্চ মাসের অপরাধ পরিস্থিতি, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ বিষয়ক অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় অত্র রেঞ্জে কর্মরত সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কর্মস্পৃহা ও কর্মচাঞ্চল্য বাড়ানোর লক্ষে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে অত্র রেঞ্জের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তাদের হাতে রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয় ক্রেস্ট প্রদান করেন।
বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে রংপুর বি-সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর ও ওয়ারেন্ট তামিলকারী কর্মকর্তা হিসেবে একই জেলার পীরগঞ্জ থানার এসআই এম এ ফারুক, শ্রেষ্ঠ মাদক ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই মোঃ মমিরুল হক, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে রংপুর কোতোয়ালি থানার এএসআই মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক নির্বাচিত হন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইউনিট এবং মোটর সাইকেল আরোহীর নিকট হেলমেট বিক্রয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে রংপুর ট্রাফিক ইউনিটের টিআই খান মোঃ মিজানুর ফাহামী, শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ মাহফুজ আলম, শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে রংপুর এর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার পুরুষ্কার গ্রহণ করেন। এছাড়াও ক্লুলেস খুন মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান এবং মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল/৫৭৬ নিমাই চন্দ্র মহন্ত ও আদিতমারী থানার কনস্টেবল/২৯১ মোঃ নাজিরুল ইসলাম দ্বয় বিশেষ পুরষ্কারে পুরষ্কৃত হন।
সভা শেষে একই স্থানে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ‘আইন-শৃঙ্খলা’ সংক্রান্তে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সার্বিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, বিপিএম মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মজিদ আলী, বিপিএম, ঠাকুরগাঁও এর পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান, পিপিএম, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম,পিপিএম, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহ্মদ, পিপিএম, রংপুর এর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, পিপিএম-বার, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, পিপিএম, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, বিপিএম, নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম, অত্র রেঞ্জ দপ্তরের পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল লতিফ (কমান্ড্যান্ট, অতিরিক্ত দায়িত্বে, আরআরএফ, রংপুর),