স্বামীর সাথে খালু বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নববধু (২০)। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের মৌলভীর তবক গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বামীসহ স্বজনদের মারধর করে ওই গ্রামের বখাটে ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক রফিক এ বধুকে ধর্ষণ করে। গৃহবধুর ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় গৃহবধুকে ওই দিন রাত ১১টার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী সুজন হাওলাদার নিশানবাড়িয়া গ্রামের হাকিম ফকিরের ছেলে রফিককে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে বৃহস্পতিবার কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অপর আসমিরা হলেন, মৌলভীর তবক গ্রামের এছাহাক হাওলাদারের ছেলে খালেক হাওলাদার, নিশানবাড়িয়ার দেলোয়ারের ছেলে মো. রাসেল ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলী পৌরসভার খোন্তাকাটা এলাকার মন্নান গাজীর ছেলে মো. জাফর গাজী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের লোদা গ্রামের সুজন হাওলাদার তার নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়ার মৌলভীর তবক গ্রামে খালু শ^শুর বশারের বাড়িতে বুধবার শেষ বিকেলে বেড়াতে আসেন। রাত আনুমানিক আট টায় এ চক্র ওই বাড়িতে গিয়ে ওঠে। সন্ত্রাসী স্টাইলে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করে জানতে চায় তাদের বিয়ের কাবিনসহ বৈধতা আছে কি না। এক ফাকে তানজিলাকে মুখ চেপে ওই গ্রামের মো.আনোয়ার হোসেনের বাড়ির পশ্চিম পাশে মাঠের মধ্যে নিয়ে হাত-পা জাপটে ধরে বখাটে রফিক ধর্ষণ করে। এ গৃহবধুর ডাকচিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ধর্ষিতা ওই নববধূ কান্না বিজড়িত কন্ঠে জানান, ওদের হাত-পা ধরে আকুতি মিনতি করলেও আমাকে ছাড়েনি।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমকে বৃহস্পতিবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।