যশোর জেলা শিবিরের পূর্ব শাখা প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ (২৪), যশোর মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের আইনের ছাত্র শামীম হোসেন (২৬) ও চুকনগর কলেজের প্রভাষক মনিরুল ইসলাম (৩০) সহ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ২৩ জন শীর্ষ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মণিরামপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা হায়াতপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি কক্ষ থেকে তাদেরকে আটক করে। মণিরামপুর থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকের সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বোমা ও তাদের সাংগঠনিক কিছু বই-পুস্তক জব্দ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আটক অন্যান্যরা হচ্ছে কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ি গ্রামের হাবিব হাসান (১৫), ভাল্লুকঘর গ্রামের বিল্লাল হোসেন (১৯), মির্জানগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (২৫), মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের রাসেল কবির (১৭), হানুয়ার গ্রামের এনামুল (১৮), খালিয়া গ্রামের আবু মুছা (১৯), শ্যামকুড় গ্রামের আহাদ (২৭), নোয়ালী গ্রামের সাজিম হোসেন (১৫), নেংগুড়াহাট গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত (১৬), শাহপুর গ্রামের নাজমুস সাকিব (১৮), খেদাপাড়ার গোলাম আযম (২১), গালদা গ্রামের খালিদুর রহমান (২০), পারখাজুরা গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২১), রোহিতার মাহাফুজ (১৯), হাজরাকাটি গ্রামের মেহেদী (২০) ও বাপ্পি হোসেন (১৮), রত্নেরশ্বরপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম (১৮) ও ইসরাফিল হোসেন (১৭) এবং মদনপুর গ্রামের মাছুম বিল্লাহ (২৬)।
থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক বলেন, একদল শিবিরের সাথীকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনায় হায়াতপুর মাদ্রাসা কক্ষে গোপন বৈঠক করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর) রাকিব হাসান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, এসআই জহির রায়হানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বিকেল ৪টার সময় এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে ওসি তদন্ত এনামুল হক জানান।
তবে, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ লেয়াকত হোসেন জানায়, রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত ও আকিদা সম্পর্কে কিছু আলোচনা চলছিলো এমন সময় অভিযান চালিয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করেছে। একটি সূত্রে জানা গেছে আটক ২৩ জনের মধ্যে মনিরুল ইসলাম কলেজ শিক্ষক। এছাড়া অন্য সকলেই বিভিন্ন কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র।