নেত্রকোনার কলমাকান্দায় যৌতুক না দেয়ায় পারভীনা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবঁধুকে গত শুক্রবার ভোরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বামী শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থানায় মামলা হয়েছে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই দিনের সকাল সাড়ে ১০ টায় পারভীনের স্বামী শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও শ্বশুর তোরাব আলীকে (৭০) তাদের বাড়ি কলমাকান্দার কৈলাটি ইউনিয়নের শিধলী পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের নিকট গৃহবধু পারভীনাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক স্বামী শফিকুল ইসলাম। গতকাল শনিবার দুপুরে আটককৃত পারভীনা স্বামী ও শ্বশুরকে নেত্রকোণা জেলা বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পারভীনা হত্যার ঘটনায় গত শুক্রবার মধ্যরাতে নিহতের সহোদর ছোট ভাই আবু ইউসুফ বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুরীসহ অজ্ঞাত আরও দুই জনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এর আগে গত শুক্রবার স্বামী শফিকুল ইসলাম ও শ্বশুর তোরাব আলীকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে থানা পুলিশ। এ মামলায় আরেক আসামি শ্বাশারী সখিনা (৬০) পলাতক রয়েছে।
উলে¬খ্য পারভীনার ভাই নেত্রকোনার বারহাট্রা উপজেলার রতœপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম জানান, শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক লোভী। পারভীনা কে প্রায়শই তারা যৌতুক এনে দিতে চাপ দিতো। ইতোমধ্যে পারভীনা এক লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে এনেও দিয়েছে তার স্বামীকে। কিন্তু আরো এক লাখ টাকা এনে না দেয়ায় মাঝে মধ্যেই তার স্বামীসহ সংসারের অন্যান্যরাও তাকে মারধর করতো। গত শুক্রবার ভোরে তার স্বামীর বাড়িতে তাকে অতিরিক্ত পিটিয়েছে বলেই পারভীনের মৃত্যু হয়েছে দাবী করেন তিনি। পারভীনার গলায়, পিটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গত শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠায় পুলিশ।